কক্সবাজারের রামুতে লোকালয়ে চলে আসা এক মা হাতিকে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। পরে মৃত হাতিটির শরীর থেকে মাথা ও পা বিচ্ছিন্ন মাটি চাপা দেয়া হয়। (৩১ আগস্ট)মঙ্গলবার ভোর রাতে উপজেলার খুনিয়াপালং এর দক্ষিন খুনিয়ায় ধানক্ষেতে এ ঘটনা ঘটে। .
রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রণয় চাকমা বলেন, খাবারের সন্ধানে ধোয়াপালং এলাকায় ধানক্ষেতে চলে আসে একটি মা হাতি। সেখানে স্থানীয় মানুষেরা বৈদ্যুতিক শটের্র ফাঁদ পেতে হাতিটিকে হত্যা করে। এরপর কিছু দুর্বৃত্ত শরীর থেকে হাতিটির মাথা ও পা বিচ্ছিন্ন করে মাটি চাপা দেয়। ঘটনার সাথে জড়িতদের ধরতে অভিযান চলছে। .
হিমছড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মিজানুল ইসলাম বলেন, নজির আহমেদ নামে একজনকে প্রাথমিকভাবে আটক করেছি। বন-বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। .
আটক নজির আহমদ (৭০) রামুর খুনিয়াপালং ইউনিয়নের মির্জা আলীর দোকান এলাকার বাসিন্দা মৃত আলী হোসেনর ছেলে। .
কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের ধোয়াপালং রেঞ্জ কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন বলেন, সোমবার মধ্যরাতে রামুর খুনিয়াপালং ইউনিয়নের মির্জা আলীর দোকান সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকায় স্থানীয় ধানক্ষেতে ৫/৬ টি বন্যাহাতির দল খাবার খেতে নামে। এ সময় ধানক্ষেতটির মালিক নুরুল ইসলাম ও তার স্বজনরা হাতিগুলো তাড়ানোর চেষ্টা চালায়। এক পর্যায়ে তারা ধানক্ষেত থেকে তাড়ানোর জন্য হাতিগুলোকে বিদ্যুতের শক দেয়। এতে অন্য হাতিগুলো পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও একটি হাতি ঘটনাস্থলে মারা যায়। পরে মৃত হাতিটিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খণ্ড-বিখণ্ড করার পর ধানক্ষেতে মাটি চাপা দেয়। .
তিনি আরো বলেন , মঙ্গলবার সকালে হাতিটির মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করা হয়েছ। এ ঘটনায় রামু থানায় সাধারণ ডায়েরি এবং কক্সবাজার বন আদালতে ৮ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে. .
ডে-নাইট-নিউজ / আমানউল্লাহ আনোয়ার কক্সবাজার
আপনার মতামত লিখুন: